আ হ জুবেদ::: ভালবাসার সঠিক এবং বিশাল পূর্ণ সংজ্ঞা দেয়ার চরম দুঃসাহস আমি দেখাতে চাচ্ছিনা। হয়তো অনেক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে খানিকটুকু ধারণা দেয়া সম্ভব;কিন্তু তার পূর্ণ সংজ্ঞা আজ অবধি কেউ দিতে পারেনি। মানুষকে তৃপ্তি দেয় যে কয়েকটি অনুভূতি তার মধ্যে অন্যতম হলো ভালোবাসা। ভালোবাসা বিষয়টাই আসলে গোলমেলে, অস্পষ্ট এবং ধোঁয়াটে। এর ব্যাপ্তি এতোটাই বিশাল যে, কোনো সংজ্ঞা দিয়ে একে আজ অবধি আটকানো সম্ভব হয় নি।
জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা ভালবাসার খুবই আপন একজন কবি জীবনানন্দ দাস সহ উনারা সকলই জীবদ্দশায় ভালবাসা নিয়ে অগনিত কবিতা লিখে গেছেন সত্য,তবুও আজ অবধি ভালবাসার পাঠশালা পর্যন্তই ছিল তাদের আনাগোনা।
প্রীতি কাব্য কথা দিয়ে অগনিত হৃদয় জয় করে আর অবর্ণনীয় অপরূপ এবং মোহিত করেছে এমন সব সুন্দর কাব্য মাল্য গেঁথে ভালোবাসার সংজ্ঞা শেষ করা তো দূরে থাক; আসলে ভালবাসার সংস্পর্শে গিয়ে তথাকথিত কবিরা তাদের কবিত্ব দ্বারা একটুখানি ছুঁয়েছেন ভালবাসাকে মাত্র। অন্তহীন ভালোবাসা এবং বিশাল এর সংজ্ঞা।
আসলে সত্যি কথা বলতে কি, ভালবাসার কূলহীন মহাসাগরে সাঁতার কাটার যোগ্যতা বলেন আর সময়-সুযোগ বলেন তার কোনোটাই আমার অর্জন বা অনুকূলে ছিলনা বিধায় তা থেকে নিজেকে সেচ্ছায় অনেকটা দূরেই রেখেছিলাম এবং আজ অবধি সেরকমই আছি।তবে জীবনের এই মাঝ পথে এসে এখন দাম্পত্য জীবনের ভালোবাসা নিয়ে বেশ সুখেই আছি এবং এই মধ্যবয়সী জীবন সদা আনন্দে অতিবাহন করছি। একজন ধর্মানুরাগী হিসেবে যেমন নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ব করি আবার কখনো কখনো আনুসঙ্গিক কিছু ধর্মীয় বিষয়ে ব্যথিতও হই। যেমন যখন এই প্রবাসে দেখি কোনো অমুসলিম মেয়েরা মুসলিম ছেলেকে ভালোবেসে কিংবা বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর একপর্যায়ে ধর্মীয় নিয়মানুসারে নৈতিক জীবন গঠন তো করেই না;বরঞ্চ দেখাগেছে যে’ঐসব মেয়ে গুলো ধর্মান্তরিত হওয়ার কথাটি পর্যন্ত ভুলে যায়। মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে কুয়েত,সৌদিআরব,কাতার,বাহরাইন,ওমান এবং আমিরাতে খুবই চোঁখে পরার মতো খৃষ্টান মেয়েরা জীবন এবং জীবিকার তাগিদে ছুটে এসেছে। তন্মধ্যে সংখ্যাধিক মেয়েরা ফিলিপাইন থেকে এসেছে। ফিলিপাইনের মেয়েরা অন্যান্য প্রবাসী মেয়েদের চেয়ে তুলনা মূলক একটু বেশিই দেখতে সুন্দর ; ফলে ফিলিপাইনের মেয়েদের প্রতি চরিত্রহীন বিভিন্ন দেশীয় ছেলেদের নোংরা নজর থাকে কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে। একসময় যেকোনো মূল্যে সেই ভালোলাগার মেয়েটিকে নোংরা ছেলেরা নিজেদের ভোগবিলাসের জন্যে আপন করে নেয়। ফিলিপাইনের সেয়ানা মেয়েরাও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্যে সব রকমের ফন্দি চালাকি তথা মিথ্যা অভিনয়ের মাধ্যমে এবং নরম মিষ্টি ভাষায় কথা বলে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য যে, বিশেষ করে ফিলিপাইনের মেয়েরা বেশির ভাগ আরবিয়ান ছেলেদের দিকেই দৃষ্টি ফেলে এবং অন্যদিকে আরবিয়ান ছেলেরাও ঐসব মেয়েদের কাছে ভালোবাসা কিংবা সেক্স মিলনের সুযোগ চাওয়া মাত্রই মেয়েরা প্রস্তাবে রাজি হয়ে সবকিছু বিলিয়ে দেয় নিজেকে উজাড় করে। ঐসব ফিলিপাইনিদের ভালোবাসার এহেন বিপদজনক ফাঁদে পা ফেলে কমবেশি সব দেশের ছেলেরাই সর্বস্ব হারিয়েছে এবং এখনো প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে;এমন অসংখ্য ঘটনার কথা বহুবার শুনা গেছে।
এছাড়া দেখাগেছে, প্রবাসে একাংশ বাংলাদেশী ছেলেরা ফিলিপাইনিদের বড়ই ভক্ত এবং কষ্টার্জিত অর্থ ঐসব মেয়েদের পিছনে খরচ করে নিজেদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিচ্ছে। ফিলিপাইনি মেয়েদের সাথে মিশরীয় আরবিয়ান ছেলেদের সম্পর্ক হওয়ার পরপরই তারা মেয়েদের প্রস্তাব করবে এরকম বলে যে’ হানি তুমি আমার সাথে সম্পর্ক যেমনটাই করো, হোক সেটা দু’দিনের কিংবা চিরদিনের জন্যে কিন্তু তোমাকে ধর্মান্তরিত হতে হবে; যেমন আমার ইসলাম ধর্ম তোমাকে গ্রহণ করতে হবে। তখন সেইসব মেয়েরা নিজেদের ভালোবাসার মানুষের মন রক্ষার্থে শত বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে তাদের খৃস্টান ধর্ম ত্যাগ করে একসময় ইসলাম ধর্মের নিয়মানুসারে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়। তারপর সেই বিদেশী প্রেম ভালোবাসার প্রেমিক যুগলদের আনন্দঘন মুহূর্ত চলতে থাকে। কিন্তু একটা সময় যখন দেখা গেছে যে’ সেই সব প্রেমিক যুগলদের মধ্যে কোনও কারণে প্রীতি বিচ্ছেদ ঘটে যায়; ঠিক তখনই সেইসব ফিলিপাইনি মেয়েদের আসল চেহরা উন্মোচিত হয়। যেমন মিশরিয়ান বা অন্যান্য মুসলিম ছেলেরা যখন ঐসব ফিলিপাইনি মেয়েদের সঙ্গ ত্যাগ করে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়; এরপর আর সেইসব মেয়েদের মুসলিম ধর্মানুসারী হিসেবে পরিলক্ষিত হয়না। ঠিক তখন বোধকরি প্রিয় ব্যক্তিকে ভালোবেসে ধর্মান্তরিত;তবে অন্তরে ধর্মের তরে খাটি ভালবাসা নেই।